সাধারণত ক্যান্সার তিনটি পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একই সাথে একাধিক পদ্ধতি প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে।
সার্জারী বা শল্য চিকিৎসা
প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার আক্রান্ত স্থানকে অপারেশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে কেটে বাদ দিয়ে শরীরকে ক্যান্সার মুক্ত করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে ক্যান্সার নিরাময় সম্ভাবনা সর্বাধিক।
রেডিওথেরাপি বা বিকিরণ চিকিৎসা
অধিকাংশ ক্যান্সার রোগীর ক্ষেত্রে সার্জারী কিংবা অন্যান্য চিকিৎসা পাশাপাশি অথবা এককভাবে রেডিওথেরাপির সাহায্যে শরীরের ভিতরেই ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করে ফেলা যায়।
কেমোথেরাপি
কোন কোন ক্ষেত্রে সার্জারী এবং রেডিওথেরাপির পাশাপাশি অথবা পূর্বে বা পরবর্তীতে ক্যান্সার কোষ ধ্বংসকারী ঔষধের সাহায্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
বস্তুত রোগ এবং রোগীর অবস্থাভেদে সার্জারী, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হয়। তবে রোগের প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করলে ক্যান্সার সম্পূর্ণরূপে নিরাময়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
হরমোন থেরাপি এবং টার্গেটেড থেরাপি
উপরোক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি ছাড়াও হরমোন সংবেদনশীল ক্যান্সারের চিকিতসায় হরমোন থেরাপি এবং বিশেষ কিছু ক্যান্সারের চিকিতসায় টার্গেটেড থেরাপি প্রদান করা হয়।
ক্যান্সারের বিপদ সংকেত সমূহ
- সহজে সারছে না এমন কোন ক্ষত
- অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ
- স্তনে বা শরীরের অন্য কোথাও ব্যথাযুক্ত বা ব্যথাবিহীন কোন পিন্ডের সৃষ্টি
- গিলতে অসুবিধা বা হজমে গন্ডগোল
- মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন
- তিল বা আঁচিলের সুস্পষ্ট পরিবর্তন
- খুসখুসে কাশি কিংবা ভাঙা কন্ঠস্বর
উপরে উল্লেখিত ক্যান্সারের যে কোনও বিপদ সংকেত দু’সপ্তাহের বেশী স্থায়ী হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।