ক্যান্সার এর উৎপত্তি কখনো ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল নয়। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন-ই ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুলাংশে কমাতে সক্ষম ।
ধূমপান পরিহার করুণ
সারাবিশ্বে ধূমপান ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ যা কিনা সব ধরনের ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এছাড়াও ধূমপানের ফলে মুখ ও গলা, শ্বাসনালী, মূত্রথলি, অন্ত্রের ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মত মারাত্নক ব্যাধির সৃষ্টি হয়।
যদি আপনি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, তবে তা পরিহার করাই আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য সব চাইতে প্রয়োজনীয়/অপরিহার্য। যত শীঘ্রই আপনি তা পরিহার করবেন তত বেশী দেহের ক্ষতিসাধন রোধ করা সম্ভব।
মদ্যপানের ক্ষতি সম্পর্কে জানুন
অতিমাত্রায় যে কোন ধরণের মদ্যপান ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুমাত্রায় বাড়িয়ে দেয়। এর সাথে যদি আপনি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন তবে ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও মারাত্নক আকার ধারণ করে। মদ্যপানে যকৃত, খাদ্যনালী, কন্ঠ, গলা নালী ও ফুসফুসের ক্যান্সার হয়ে থাকে। অতএব মদ্যপান পরিহার করুন।
সক্রিয় থাকুন
নিয়মিত হালকা পরিশ্রম আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। সপ্তাহে নিয়মিত তিন থেকে পাঁচ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম (যেমন – হাঁটা, জগিং বা সাঁতার কাটা, বাগান করা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি) যা আপনার জন্য উপযোগী তা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত সুষম এবং পরিমিত খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার, শাক-সবজি, ফলমূল রাখুন এবং প্রক্রিয়াজাত ও অধিক চর্বিযুক্ত খাদ্য পরিহার করুন। প্রচুর পরিমাণে (দৈনিক ৮-১০ গ্লাস) পানি পান করুন।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন
অতিমাত্রায় সূর্যরশ্নি শরীরের জন্য ক্ষতিকর, যা কিনা মেলানোমা এবং ত্বকের (স্কিন) ক্যান্সারের জন্য দায়ী। গ্রীষ্মকালে সকাল ১১:০০টা হতে বিকাল ০৩:০০টা পর্যন্ত সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকুন অথবা এ সমইয় ছাতা, সানগ্লাস এবং সানস্ক্রীন ব্যবহার করুন।
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখুন
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কেবল হৃদপিন্ডের অসুখই নয়, ডায়বেটিস এমনকি ক্যান্সারের মত মারাত্নক ব্যাধির সৃষ্টি করে। মাত্রাতিরিক্ত ওজন স্তনের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। অতরব, শরীরের ওজন পরিমিত রাখুন।
নিয়মিত ক্যান্সার স্ক্রিনিং বহু জীবন বাঁচাতে সক্ষম
নিয়মিত স্ক্রিনিং টেস্ট এর ফলে প্রাথমিক অবস্থায় শরীরের অস্বাভাবিক পরিবর্তন সমূহ লক্ষ্য করা সম্ভব, এতে চিকিৎসা পদ্ধতি সহজ এবং ফলপ্রসূ হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
প্রতি বছর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন, প্রতিমাসে নিজেই নিজের স্তন, মুখের ভেতর ও শরীর পরীক্ষা করুন।