ব্রেস্ট ক্যান্সারঃ
- ৪০ বছর বয়স থেকে প্রতি বছর একবার করে মেমোগ্রাম করতে হবে
- ২০-৩০ বছরের মহিলাদের জন্য ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট পরীক্ষা প্রতি ৩ বছরে একবার এবং চলিশোর্ধ মহিলাদের জন্য প্রতি বছরে একবার
- ২০ বছরের কম বয়সী মেয়েদের জন্য নিজে নিজের ব্রেস্ট পরীক্ষা করা
কোলন ক্যান্সার ও পলিপ
- ৫০ বছর অথবা তদুর্ধ পুরুষ/মহিলাদের জন্যঃ
- ফ্লেক্সিবেল সিগনিওডিস্কপি প্রতি ৫ বছর অন্তর
- কোলনস্কপি প্রতি ১০ বছর অন্তর
- প্রাথমিক ভাবে ক্যান্সার সনাক্তকরনের জন্য প্রতিবছর একবার ফিক্যাল ওকাল্ট ব্লাড টেস্ট (gFOBT) করতে হবে যদি এই টেস্ট পজিটিভ হয় তাহলে কোলনস্কপি করতে হবে
জরায়ু ক্যান্সার
- মাসিক বন্ধের (মেনোপজ) সময় প্রত্যেক মহিলাকে জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি এবং উপসর্গ সম্পর্কে অবহিত করা উচিত। বিশেষ করে কোন অস্বাভাবিক রক্তপাত বা স্পটিং থাকলে অবশ্যই ডাক্তারকে অবহিত করতে হবে
- কিছু কিছু মহিলার মেনোপজ পরবর্তী রক্তপাতের ইতিহাস থাকলে তাঁদের প্রতি বছর ইন্ডোমেটারিয়াল বায়োপসি করার প্রয়োজন হতে পারে
জরায়ুমুখের ক্যান্সারঃ
- সার্ভিক্যাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং ২১ বছর বয়স থেকে শুরু করা উচিত, ২১ বছরের কম বয়সী মেয়েদের এই টেস্ট করার প্রয়োজন নেই
- ২১-২৯ বছর বয়সী সকল মহিলাদের প্রতি ৩ বছর পর পর প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট এবং এইচপিভি টেস্ট করতে হবে
- ৩০-৬৫ বছর বয়স্ক মহিলাদের প্রতি ৫ বছর পর পর প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট এবং এইচপিভি টেস্ট করতে হবে
- ৬৫ বছর এর উর্ধ্বে মহিলারা যারা নিয়মিত সার্ভিক্যাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং এর মধ্যে ছিলেন এবং রিপোর্ট নরমাল তাঁদের ক্ষেত্রে আর স্ক্রিনিং এর দরকার নেই
প্রস্টেট ক্যান্সারঃ
- প্রস্টেট ক্যান্সারের স্ক্রিনিং ৫০ বছর থেকে শুরু হয় । এটি পিএসএ লেভেলের উপর নির্ভরশীল।
সূচনার ক্যান্সার নির্ণ্যের সুপারিশ মালা
পরীক্ষা | বয়স | কত দিন পর পর |
নিজে নিজের স্তন পরীক্ষা | ২০ বছর বয়স থেকে | প্রতিমাসে একবার |
চিকিৎসক দ্বারা স্তন পরীক্ষা | ২০-৪০ বছর বয়স থেকে
৪০ বছর বয়স থেকে |
প্রতি তিন বছরে একবার
প্রতি বছর একবার |
স্তন ম্যামোগ্রাফী বা সনোম্যামোগ্রাফী | ৩৫-৩৯ বছর বয়সের মধ্যে
৪০-৪৯ বছর বয়সের মধ্যে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে |
একবার
এক বা দুই বছর অন্তর প্রতি বছর একবার |
প্যাপ টেস্ট এবং স্ত্রীরোগ
(বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা) |
১৮ বছর বয়স থেকে | বছরে একবার
(পর পর তিন বছর অস্বাভাবিক) কিছু পাওয়া না গেলে পরীক্ষার অন্তর্বতী সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িয়ে নেয়া যেতে পারে) |
আয়নার সাহায্যে নিজে নিজের মুখ অথবা দুই বন্ধু মিলে একে অন্যের মুখ পরীক্ষা | ৪০ বছর বয়স থেকে | প্রতিমাসে একবার |
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা মুখ পরীক্ষা | ৪০ বছর বয়স থেকে | প্রতি বছর একবার |
মলের অকাল্ট ব্লাড টেস্ট (গুপ্ত রক্ত পরীক্ষা) | ৫০ বছর বয়স থেকে | প্রতি বছর একবার |
চিকিৎসক দ্বারা মলদার/পায়ুপথ পরীক্ষা | ৪০ বছর বয়স থেকে | প্রতি বছর একবার |
ক্যান্সার নির্ণ্যের জন্য শারীরিক পরীক্ষা | ৪০ বছর বয়স থেকে | প্রতি বছর একবার |
স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ | ২০ বছর বয়স থেকে | তিন বছর পরপর |